খেলার খবর

খেলার ধূলায় মাখতে এসেছি

টোকিও ফর্মুলা অনুসরণ করেই আয়োজন হবে বিপিএল

করোনার মধ্যেই গত বছর আয়োজন করা হয়েছিল টোকিও অলিম্পিক গেমস। ১০ হাজারেরও বেশি ক্রীড়াবিদ এবং সমানসংখ্যক কর্মকর্তা নিয়ে টোকিওতে অনুসরণ করা হয়েছিল কঠোর স্বাস্থ্যবিধি। যে কারণে শেষ পর্যন্ত ভালোয় ভালোয় এতবড় ক্রীড়াযজ্ঞ সফলভাবে শেষ করা গেছে।

এবার করোনার সংক্রমণ টোকিওর পরিস্থিতির চেয়ে খারাপ। ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের কারণে সংক্রমণ আগের চেয়ে কয়েকগুণ, তথা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। এরই মধ্যে খবর এসেছে বিপিএলেও সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে। বিসিবির মেডিকেল টিম যা সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে।

কিন্তু এর মধ্যেও আয়োজকরা বিপিএল আয়োজনে বদ্ধপরিকর এবং নির্বিঘ্নে যেন এই আয়োজন সম্পন্ন করা যায়, সে কারণে টোকিও অলিম্পিকের আদলে করোনা স্বাস্থ্যবিধি মানা হবে বলে জানাচ্ছে বিপিএলের মেডিকেল টিম।

শুক্রবার থেকেই শুরু হচ্ছে জমজমাট বিপিএলের অষ্টম আসর। এই আসরকে ঘিরে ছয়টি ফ্র্যাঞ্চাইজির নানা আয়োজন ও ব্যাপক জনসমাগমের কারণে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে অনেক বেশি। যে কারণে আরও বেশি করে সচেতনতা বাড়ানোর প্রতি তাগিদ দিয়েছেন বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী।

বিপিএল আয়োজনে কী নীতি অনুসরণ করা হচ্ছে কিংবা স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কিত কী নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে? এ সম্পর্কে দেবাশীষ চৌধুরী গতকাল বুধবার বলেন, ‘বাংলাদেশসহ সারা পৃথিবীতে করোনার ঊর্ধ্বমুখী যে প্রবণতা সে বাস্তবতার মধ্যে আমরা এবারের বিপিএল আয়োজন করছি। খেলার সঙ্গে সম্পর্কিত যারা আছেন, সবার সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করে টুর্নামেন্টটা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য বিপিএল যে কমিটি আছেন, তারা একটি গাইডলাইন তৈরি করেছেন। সে অনুসারে আমাদের কোভিড সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালিত হবে। সে ধারাবাহিকতায় আমরা প্রত্যেক অংশগ্রহণকারীকে টেস্ট করছি, যারা নেগেটিভ হবেন তারা এবং যাদের ডাবল ভ্যাকসিনেশন আছেন তারা বায়ো-বাবলে প্রবেশ করবেন। তো আমরা গতকাল (মঙ্গলবার), আজ (বুধবার) এবং আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) তিনদিন টেস্ট কার্যক্রম চালাচ্ছি। এর মধ্যে যে রেজাল্টগুলো আসছে সেগুলো ফ্র্যাঞ্চাইজি দলের সঙ্গে শেয়ার করছি।’

দেবাশীষ চৌধুরী জানিয়েছেন, টোকিও অলিম্পিকের আদলে বিপিএলে করোনা স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করা হবে। তিনি বলেন, ‘করোনার যে গাইডলাইনটা আমরা এই বিপিএলে প্রয়োগ করতে যাচ্ছি এটা টোকিও অলিম্পিকের আলোকে (তৈরির) চেষ্টা করা হয়েছে। এখানকার বিদ্যমান বাস্তবতার সঙ্গে সম্পর্ক রেখে চেষ্টা করছি সেটাকে প্রয়োগ করার। আমরা এর আগে বিসিএলসহ অন্যান্য দ্বিপাক্ষিক যে সিরিজগুলো আয়োজন করেছি মোটামুটি চেষ্টা করেছি স্বাস্থ্য সুরক্ষা যতটুকু সম্ভব নিশ্চিত করার জন্য। আমরা মোটামুটি বড় কোনো সমস্যা ছাড়াই টুর্নামেন্টগুলো শেষ করতে পেরেছি। এখন সে অভিজ্ঞতার আলোকে আশা করছি এই বিপিএলটা একইভাবে পরিচালনা করবো।’