ওয়ানডে অধিনায়কত্ব খোয়ালেও ফুরফুরে মেজাজেই আছেন বিরাট কোহলি। পরিবারের সাথে সময় কাটিয়েই হয়তো শক্তিশালী হয়ে ফেরার চেষ্টা করছেন বিরাট। পড়ে গিয়েও বারবার ঘুরে দাঁড়ানোর বিরাটের গল্পটাই হতে পারে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের জন্য বড় অনুপ্রেরণা।
যতোই ঘোর অমানিশায় ঢাকুক চারপাশ, তবুও জীবন সুন্দর, হাসতে হবে প্রিয়জনের সাথে বাঁচতে হবে। বিরাট কোহলিও ঠিক করছেন তাই, অমানিশার তিমিরকে পাশ কাটিয়ে পরিবারের সাথে চুটিয়ে জীবন উদযাপন করছেন সদ্য ওয়ানডের কাপ্তানি হারানো বিরাট।
জীবন সঙ্গীর এখন দুঃসময়, কক্ষপথ তাকে নিয়ে গেছে কৃষ্ণ গহ্বরের পথে আনুষ্কা সেটা জানেন, তাই তো মনে করিয়ে দিলেন বিরাটের প্রিয় গানের এক কলি, বললেন সেই গানের ভাষায়, এখানে কোনো সহজ নয়, নেই ঘরে ফেরার কোনো সংক্ষিপ্ত পথও।
বিরাটের প্রিয় গানের মতোই তার চলার পথটা যে আর মোটেও সহজ নেই আর, প্রিয় গোলাপের চারপাশে কাঁটারা বসত গেড়েছে, সতীর্থদের কেউ হয়ে উঠেছেন শত্রু ভীষণ, টি-টোয়েন্টি ক্যাপ্টেনের পদটা স্বেচ্ছাতেই ছেড়েছিলে, তবে ওয়ানডেটা কেড়েই নিয়ে সৌরভের বোর্ড।
সাদা বলে দুই ক্যাপ্টেন নয় নীতি, একা করে দিয়েছে বিরাট কোহলিকে। ব্যাপারটা এমন দাঁড়ালো যদি ইচ্ছে টেস্টে ক্যাপ্টেন থাকো না হলেও ওটাও ছেড়ে দাও। সাদা পোশাকের কালো গর্তে আটকে যাওয়া বিরাটের ক্যারিয়ারের শেষটাও অনেকে দেখে ফেলছেন, অনেকে বলছেন, এবারও হয়তো দাপুটে বিরাটের শেষে শুরু।
তবে বিরাট তো জানেন, জীবনের আসলে কোনো শর্ট কার্ট রাস্তা নেই, হারিয়ে যাওয়া সফর থেকে ফিরে আসতে হয় দীর্ঘ লড়াই করে। তাই বেদনার শেল বুকে চেপেও দারুণ সুখে এমন হাসতে হয়, জীবনটা উদযাপন করতে করতেই লড়তে হয়। এ পৃথিবীতে তো জায়গা কেড়ে নেয়ার লোকের অভাব নেই, তবে নিজের জায়গাটা নিজেই করে নিতে হয়।
যদিও এখানে ব্যতিক্রম বাংলার ক্রিকেট, বিরাটের মতো বড় ব্যাটারকেও যখন লড়াই করে ফিরতে হয়; তখন কেবল প্রতিভা আছে এই তকমাতেই বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা বছরের পর বছর খেলে যান, ফলে চেষ্টাটাও হয় না, বাংলা ক্রিকেটাও আর সুদিনের কথা কয় না।