প্রশ্নবিদ্ধ সব কর্মকান্ড, তবে নেই তার ব্যাখ্যা। গেলো কয়েক মাসে জাতীয় দল নির্বাচন নিয়ে যেন চলছে ছেলেখেলা। নিউজিল্যান্ড সফরে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ খেলবে বাংলাদেশ। অথচ টেস্ট দলে স্বীকৃত ওপেনার রয়েছেন মাত্র একজন।
প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু এক রহস্যেঘেরা চরিত্র। কখনও তিনি যেনো হিমু, কখনও মিসির আলী, আর কখনও মনে হবে জীবনানন্দ দাস।
টানা এক দশকের বেশি সময় ধরে সিলেকশন প্যানেলে। মেয়াদের পুরো সময়টায় তিনি এক বহুরূপী চরিত্র। কখন কি করেন, কেনো করেন, সেই ব্যাখ্যা নেই তার কাছে, কারো কাছেই।
মিনহাজুল আবেদীন নান্নু একই সাথে কখনও হিমু আর কখনো মিসির আলী। রহস্যে ঘেরা তার কর্মকান্ডের কোনো বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা খুজে পাওয়া যায় না। আবার কখনো দিয়ে দেন মন মতো সায়েন্টিফিক থিউরি।
জাতীয় দল এখন নিউজিল্যান্ডের কঠিন কন্ডিশনে টেস্ট সিরিজ খেলতে। আপনি জানেন কি সেই দলে বাংলাদেশের স্বীকৃত ওপেনার মাত্র একজন, সাদমান ইসলাম।
সঙ্গী হবার অপেক্ষায় থাকা নাঈম ২২ মাস খেলেনি কোনো প্রথম শ্রেণীর ম্যাচ। আর জয় তো কখনই ওপেনার নন, নাম্বার থ্রি।
প্রধান নির্বাচকের ক্যারিশমায় জাতীয় দল যেনো জাতীয় ল্যাব। যার ব্যাখ্যা তিনি দেননি। নান্নু যেনো অকাল প্রয়াত জীবনানন্দ দাস। সব ব্যাখ্যার ঊর্ধ্বে।
জীবনানন্দের দর্শন তার সময় বুঝতে পারেনি। বিসিবি প্রধান নির্বাচকের ভাবনাও হয়তো জাতি বুঝবে বাংলাদেশ ডোবার পর। যেদিন টিম টাইগার্স অসম্ভবকে সম্ভব করে চলে যাবে কেনিয়া লেভেলে।
যারা ভাবছেন আসলেই মিনহাজুল আবেদীন সত্যিই একালের জীবনানন্দ। তারা ভুল, শতভাগ ভুল। তিনি অনেক বেশি বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুলের দ্বারা উদ্বুদ্ধ।তিনি ব্যাখ্যার ধার ধারেন না। সব প্রশ্নের কিংবা সবার প্রশ্নের উত্তর দিতে বাধ্য নন দ্য গ্রেট চিফ সিলেক্টর। তিনি বিদ্রোহী, রণ ক্লান্ত আর তাই একাত্তর খেলাযোগের অনুপস্থিতি নিশ্চিত করে গণমাধ্যমে কথা বলেন ৯ ডিসেম্বর।কিন্তু এ কি বললেন। আরো দুই বছর বাংলার ক্রিকেট আর ক্রিকেটারদের কখনও মিসির আলী, কখনো হিমু আর কখনো জীবনানন্দ হয়ে কনফিউজড করতে চান।
দেশের ক্রিকেটকে বিশ্ব দরবারে লজ্জিত করার দায় নেওয়া তো দূরের কথা। নান্নুদের ভাবনা জুড়ে শুধুই ক্ষমতায় টিকে থাকা। কিন্তু কেন? হেলাল হাফিজের মতো করে বলতে মন চায় পারমানবিক বোমা বোঝো সিলেকশন প্যানেল বোঝো না।