বিশ্ব জুড়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে বাড়তি চাহিদা রয়েছে আফগানিস্তানের ক্রিকেটারদের। বিশেষ করে রশিদ খান, মোহাম্মদ নবি ও মুজিব উর রহমানরা প্রায় সব ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগেই হট কেক। রশিদ-মুজিবকে দলে পেতে চড়া মূল্যও দিতে রাজি থাকে যেকোনো দল।
কিন্তু তাদের এই ঘুরে ঘুরে বিদেশি লিগ খেলাটা আবার নেতিবাচক প্রভাব ফেলছেন আফগানিস্তানের ক্রিকেটে। সারাবছর বাইরে বাইরে লিগ খেলে বেড়ানোয় দেশের ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতে পারেন না আফগান তারকারা। যার ফলে স্থানীয় ক্রিকেটাররা আন্তর্জাতিক তারকাদের সান্নিধ্য থেকে বঞ্চিত হয়।
তাই তারকা ক্রিকেটারদের একপ্রকার বন্দি করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (এসিবি)। এখন থেকে বছরে তিনটির বেশি ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি লিগ খেলতে দেওয়া হবে না রশিদ-নবি-মুজিবদের। যাতে করে তারা ঘরোয়া টুর্নামেন্টেও খেলতে পারেন।
তবে এ বিষয়ে এখনও আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত আসেনি। সম্প্রতি ১৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করেছে এসিবি। তারা দেশের ক্রিকেটীয় কাঠামো পর্যবেক্ষণ ও পুনর্বিবেচনা করে নতুন পরিকল্পনা সুপারিশ করেছে। এরই মধ্যে কয়েক দফায় আলোচনায়ও বসেছে তারা।
এই টেকনিক্যাল কমিটির সদস্য রাইস আহমেদজাই ক্রিকবাজকে বলেছেন, ‘আমাদের পরিকল্পনা হলো বোর্ডের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে শীর্ষ ক্রিকেটারদের ঘরোয়া টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের বিষয়ে আলোচনা করা। খেলোয়াড়দের অবাধে বিদেশি লিগ খেলার ওপর হয়তো নিষেধাজ্ঞা বসাবে এসিবি।’
রাইজ আরও জানান, খেলোয়াড়দেরকে বছরে তিনটি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলার অনুমতি দেওয়া হবে। তারা কোন তিনটি খেলবে সেটি তাদের নিজস্ব সিদ্ধান্তই হবে। এছাড়া টেস্ট দলে সুযোগ পাওয়ার জন্য ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলা বাধ্যতামূলক করা হবে।
ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রাম অনুযায়ী ২০২২ ও ২০২৩ সালে ৩৭ ওয়ানডে, ১২ টি-টোয়েন্টি ও ৩ টেস্ট খেলবে আফগানিস্তান। এর বাইরে আইসিসি ও এসিসি আয়োজিত টুর্নামেন্টগুলোও থাকছে। ২০২২ সালের জানুয়ারিতে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে শুরু হবে তাদের ব্যস্ত সূচি।
সূত্রঃ ক্রিকবাজ