সবশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগেও ভারতের তিন ফরম্যাটের অধিনায়ক ছিলেন বিরাট কোহলি। কিন্তু এখন হারাতে হারেতে তার কাছে রয়েছে শুধুমাত্র টেস্টের অধিনায়কত্ব। কোহলি নিজে ছেড়েছেন টি-টোয়েন্টির অধিনায়কত্ব আর কেড়ে নেওয়া হয়েছে ওয়ানডের নেতৃত্ব।
দুই ফরম্যাটের অধিনায়কত্ব হারানোর পর ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ ও একটি টেস্ট খেলেননি কোহলি। দ্বিতীয় টেস্ট দিয়ে মাঠে ফেরার মাধ্যমে অধিনায়কত্বও বুঝে নেন তিনি। তবে এখনও মাঠে নামা হয়নি ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে।
চলতি মাসের শেষ দিকে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর দিয়ে ফের মাঠে নামছেন কোহলি। প্রথমে হবে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। এপর রয়েছে সমান সংখ্যক ওয়ানডে ম্যাচ। এই সফরে টেস্ট তিনটি খেললেও, অধিনায়কত্ব হারিয়ে ওয়ানডে সিরিজ থেকে ছুটি চেয়েছেন ভারতের বর্তমান দলের সফলতম ব্যাটার।
ভারতের শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া ও বার্তা সংস্থা এএনআইয়ের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, জানুয়ারিতে অল্প কয়েকদিনের জন্য ছুটি চেয়েছেন কোহলি। সেই ছুটি আবার পড়ে গেছে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের সময়।
কোহলির ছুটি চাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘পরিবারের সঙ্গে কিছু সময় কাটানোর জন্য জানুয়ারিতে অল্প কিছুদিনের ছুটি চেয়েছে কোহলি। যার মানে দাঁড়ায় দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজটি খেলতে পারবেন না তিনি।’
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে কোহলির ছুটি চাওয়ার কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, কোহলির একমাত্র সন্তান ভামিকার প্রথম জন্মদিনের কথা। আগামী ১১ জানুয়ারি এক বছর পূর্ণ হবে ভামিকার। সেদিনই শুরু হবে টেস্ট সিরিজের তৃতীয় ম্যাচ। তবু শুধু ওয়ানডে সিরিজ থেকেই ছুটি চেয়েছেন টেস্ট দলের অধিনায়ক।
তার ছুটি চাওয়ার ফলে দুই ফরম্যাটের অধিনায়কের এখনই একসঙ্গে খেলা হচ্ছে না। কেননা হ্যামস্ট্রিংয়ের ইনজুরির কারণে টেস্ট সিরিজ থেকে ছিটকে গেছেন রোহিত শর্মা। ফলে কোহলির অধীনে টেস্ট খেলা হবে না তার। আর রোহিতের অধীনে ওয়ানডেতে নামা হবে না কোহলির।